ঢাকায় বাসা হওয়া সত্ত্বেও হলে থাকতাম স্বাধীনতার জন্য। ঘুমানোর স্বাধীনতা। আর আমার আব্বার সাথে আমার সম্পর্ক ছিল টম এন্ড জেরীর মতো। হলে সারারাত আড্ডা দিয়ে , সিনেমা দেখে, চাংখারপুলে খেয়ে ভোরের দিকে ঘুমাতাম। উঠতাম দুপুরের দিকে। বিকেলে টিউশনি। ক্লাস-টাস তেমন করতাম না। একদিন সকালে মনের সুখে ঘুমাচ্ছিলাম। ৮ টার মতো বাজে। আব্বা ফোন দিছে। আমি […]
Category: Childhood
দাঁড়ি উঠা ঝামেলা বাড়ার সমানুপাতিক
যেখানে সংঘর্ষ নেই – সেখানে সৃষ্টি নেই
এক কাজিন সারাদিন মুখ বুজে ডায়েরী লেখে। আমি বললাম, কি লিখিস দেখাতো। প্রথমে দেখাচ্ছিলনা। লজ্জা পাচ্ছে। পরে বলল, আচ্ছা দেখো। দেখলাম ও বয়সে ছোট হলেও অনেক মজা করে লিখতে পারে। এক পাতায় লিখছে – ‘দীর্ঘদিন ধরে নোটবুকের পাতার অনু এবং আমার হাতের কোষগুলোর মধ্যে কোন সংঘর্ষ নেই। যেখানে সংঘর্ষ নেই – সেখানে সৃষ্টি নেই’
সাবিনা ইয়াসমিনের প্রতিবেশী
আমাদের ছোটবেলায় কন্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন খুব জনপ্রিয় ছিলেন। তো আমাদের পাশের বাসাতেই থাকতেন সাবিনা ইয়াসমিনের এক খালাত বোন । দেখতে প্রায়ই সাবিনা ইয়াসমিনের মতোই ছিলেন। আমার এক মামা আমাদের বাসায় থেকে পড়ালেখা করতেন। তো সাবিনা ইয়াসমিনের বোন (খালাতো বোন ) আমাদের পাশের বাসায় থাকে – এই নিয়ে মামার ভাবের শেষ ছিলোনা। কোথাও বেড়াতে গেলে, হয়তো […]
হল লাইফের গোসল
বুয়েট লাইফের শেষে আইসা এতো অলস হইছি যে, গোসল করার জন্য সাবান কিনতেও মনে থাকেনা। কিন্তু প্রতিদিন বাথরুমে যাইয়া দেখি কে যেন একটা সোপ কেস সাজাইয়া রাখছে । একটা ডাব্ সাবান, একটা হুইল আর একটা সানসিল্ক শ্যাম্পু। আর কি লাগে! গত একমাস ধইরা এভাবেই চলতেছে। এক সপ্তাহ ধইরা আমার টুথপেস্ট নাই। অলসতার কারনে কেনা হয়না। […]
পারদ খেয়ে দেখা
ক্লাস ফাইভে তখন। খুব জ্বর আসছে আমার। আব্বু থার্মোমিটার কিনে আনছে জ্বর মাপার জন্য। ওইদিন আম্মা মাছ দিয়ে ঝাল তরকারী রান্না করতেছিল ঝোঁল ঝোঁল করে। ভাবলাম ঝোঁলের স্ফুটনাংকটা মাপি। যেহেতু পানির স্ফুটনাংক ১০০ ডিগ্রী সেঃ, ঝোলেরও কাছাকাছি হবে। থার্মোমিটারে দেখলাম ১০২ ডিগ্রী পর্যন্ত মাপা যায়। ওই বয়সে সেন্টিগ্রেড আর ফারেনহাইট নামে দুইটা যে আলাদা স্কেল […]
ছোটবেলায় যেভাবে বাবা-মার টাকা মারতাম !
>> আমাদের বাসায় পাশে একটা দোকান ছিলো। ওইটা ছিলো আমাদের বাকি দোকান। আম্মার কাছে টাকা না থাকলে ওই দোকান থেকে বাজার, সদাই, বিস্কুট – চানাচুর , চকোলেট, কোক, চাল-ডাল এসব আনতাম। একটা খাতায় লিখে রাখত। মাস শেষে আব্বু একসাথে দিয়ে দিতো। তো আমার কাছে টাকা থাকলেই, হয় কিছু খাইতাম নাহয় মোস্তফা গেম খেলতাম কয়েন কিনে। […]
আমার বন্ধু বরাত
বরাত ছিল আমার প্রাইমারী স্কুলের বন্ধু। চতুর্থ শ্রেণীতে আমরা একসাথে পড়ি।তারপর আমি অন্য স্কুলে চলে যাই। আমার বাবা আমাকে একই স্কুলে কখনো দু’বছর পড়াননি।কারন ছোটবেলায় আমি এতই বাজে ছাত্র ছিলাম যে, কোনোবারই ফাইনাল পরীক্ষায় পাস করতে পারতাম না।টিচাররা বাবাকে ডেকে শুকনো গলায় বলতেন, ‘ভাইসাহেব আপনার ছেলেরতো মেধা বলতে কিছু নাই। মাথায় শুধু গোবর।ওকে আরেকবছর এই […]