টিউশনীর নাস্তা

Break-e1433124555422ছোট বেলা থেকেই লাজুক স্বভাবের হওয়ার কারনে টিউশনিতে গেলে নাস্তা দিলে তা প্রথম প্রথম খেতাম না। তাছাড়া ছোটবেলায় আব্বু আম্মুর কড়া শাসনে ছিলাম যে তাদের অনুমতি ছাড়া কোথাও কিছু খাওয়া যাবেনা। এই সমস্যা থেকে বাঁচাল এক বন্ধু। এক মেয়ে বন্ধু আমাকে বলল, নাস্তা দিলে খাবা। মানুষ অনেক কষ্ট করে বানায়। খেলে খুশী হয়। আর না খেলে কষ্ট পায়। ভাবে ছেলেটা অহংকারী – অসামাজিক। মোট কথা নেগেটিভ ইমপ্রেশন তৈরী হয়। আর প্রথম দিন নাস্তা না খেলে আর কখনো দিবেনা।

এরপর থেকে টিউশনিতে ‘বাসর রাতে বিড়াল মারা’র সূত্র অ্যাপ্লাই করতাম। প্রথম দিন নাস্তা যা দিত লজ্জা শরম বাদ দিয়ে খেয়ে ফেলতাম।

মাঝে মধ্যে কিছু টেকনিক অ্যাপ্লাই করতাম। নাস্তা আসলে স্টুডেন্টকে একটা ঝাড়ি দিয়ে – বাসায় পড়ালেখাতো কিছুই করোনা। দেখি এই ম্যাথটা করো দেখি 😀

এইভাবে একটা কাজ দিয়ে নাস্তা সেরে নিতাম। দেখতাম ভালোই লাগে। এরপর থেকে কোন টিউশনিতে নাস্তা না দিলেই মনে খারাপ হতো উলটা 😀

তবে ওপারে মানে পশ্চিমবংগে নাকি টিউশনিতে নাস্তা দিলে টাকা কেটে রাখে। ‘নাস্তা খেলে পাবে চারশো , আর না খেলে পাঁচশো’ 😀

Leave a Reply