আমাদের ছোটবেলার ঈদ ছিলো অন্যরকম এক আনন্দের। জানিনা এখনবার ডিজিটাল যুগের বাচ্চারা এইসব আনন্দ কখনো পাবে কিনা।
নতুন জামা পরে ঈদগাহে নামাজ পরতে যাওয়ার জন্য বাবার কাছে আবদার করতাম । অন্যসময় ধমক-ধামক মারলেও আজকে নামাজে নিয়ে যাচ্ছে বাবা । হাসিমুখেই নিচ্ছেন। অনেকে এতোই ছোট যে, ঈদগাহে বাবার কোলে বসে হিসু করে দিচ্ছে। বাবা সেই লুংগি নিয়েই নামাজ শেষ করছেন। বাবার পাঞ্জাবীর পকেট টেনে ধরে রাখছে বাচ্চারা-ঈদের সেলামী চাই তাদের। বাবারা অবশ্য হতাশও করছেন না কাউকে। পকেট থেকে দু’টাকার কচকচে নোট বের করে দিচ্ছেন।
বাচ্চাটা সেই নোট নিয়ে খুশিমনে দৌড় দিচ্ছে বাজারের দিকে। পোঁটকা-বাঁশি কিনতে। বাশির মুখে বেলুন লাগিয়ে ফুলানো। তারপর মুখ থেকে বের করে দিলে বেলুনের হাওয়া কমবে আর পোঁ-পোঁ আওয়াজ হবে। অনেক মজার ব্যাপার। বাঁশি বাজিয়ে সবার কান ঝালাপালা করে দিচ্ছে ওরা। কিন্তু আজকে বাবা-মারা কিছুই বলছেন না। অন্যসময় হলে মেরে আস্ত রাখতেন না। আজ ভাবছে- করুক না একটু মজা, ঈদের দিন। আমরা কতই না মজা করেছি!
স্মৃতির গভীরে গিয়ে নষ্টালজিয়ায় ভুগছেন বাবা-মায়েরা। মনে মনে হাসছেন সুখ স্মৃতিগুলো মনে করে করে। সেই সব দিন আর নাই 🙁