Menu
Categories
ছেঁড়া টাকার বিড়ম্বনা
March 26, 2016 blog

anowarparves_1337238298_1-2_notesব্যক্তিগত জীবনে লাজুক স্বভাবের হলেও টিউশনীর স্যালারির ব্যাপারে আমি নির্লজ্জ টাইপের ছিলাম। মাসের ৩০ তারিখেই টাকা চাইতাম, যাতে ১ তারিখে পাই। তো একটা ছাত্র পড়াতাম ইংলিশ মিডিয়ামের। ছাত্রের বাবা ছিলেন খুবই ভদ্রলোক। মাসের ১ তারিখ আসার আগেই টাকা দিয়ে দিতেন। খামে ভরে। চকচকে নোট। চাওয়ার আগেই। এমনো হয়েছে কোন কারনে মাসে মোট পাঁচদিন পড়িয়েছি কিন্তু উনি পুরো বেতন দিয়ে দিয়েছেন। আমি না নিতে চাইলে বলতেন, ধরো আমি একটা বাসা ভাড়া করেছি। তাতে যদি মাসে ১০ দিন থেকে আর ২০ দিন কোথাও বেড়িয়ে আসি তাহলে কি আমার পুরো মাসের ভাড়া দিতে হবেনা? তুমি নিবেনা কেনো?

ছাত্রটাও খুব ভদ্র। ভালো ছাত্রও ছিল । এ লেভেলে তিনটা এ স্টার পেয়েছিল (>৯০%) । তো একমাসে আংকেল দেশের বাইরে গেলো। ১ তারিখ পেরিয়ে গেলো , টাকা পেলাম না। ছাত্রকে বলার পর তার মা এসে খামে ভরে টাকা দিয়ে গেলো। আর বললেন, অনেক সরি। ভুলে গিয়েছিলেন।

ছাত্রের বাসা ছিল ধানমন্ডি । আমি ওখান থেকে বেরিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এলিফ্যান্ট রোডে আসলাম একটা জ্যাকেট কিনবো। তখন ছিল শীতকাল। একটা দোকানে যেয়ে জ্যাকেট পছন্দ করলাম। বিল দেওয়ার সময় টাকা বের করে দেখি পাচঁশ টাকার বিশটা নোট যার মধ্যে আঠারোটাই ছেঁড়া। তাও খুব বাজে ভাবে। জাকেট আর কেনা হলোনা। পাশেই একটা ব্যাংকে গেলাম চেঞ্জ করার জন্য। তারাও চেঞ্জ করতে চাচ্ছিলনা। মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। সোজা আবার ছাত্রের বাসায় গেলাম। ছেলেটা খুব লজ্জা পেল। সাথে সাথে চেঞ্জ করে আনলো। ওর মা এসে খুব সরি বলল যে ব্যাপারটা অনিচ্ছাকৃত ছিল। আমি খুবই অবাক হলাম। ২০ টার মধ্যে ১৮ টা নোট ছেঁড়া, এটা কিভাবে অনিচ্ছাকৃত হয়। যাইহোক আর কখনো এই সমস্যা হয়নি।

Leave a Reply

You must be logged in to post a comment.

*