ক্যারিয়ারের শুরুতে

imagesউপদেশ আমি একদম নিতে পারিনা, দিতেও পছন্দ করিনা। কারো উপদেশ নেইনা বলে জীবনে অনেক ভুল করে করে শিখি। তাই ঠিক উপদেশ না – অভিজ্ঞতা থেকে কিছু কথা বলতে চাই সদ্য পাশ করা  ছোট ভাই/বোনদের জন্য।

# আমরা অনেকেই বুয়েটে নিজের পছন্দের বিষয়ে ভর্তি হতে পারিনি বলে মন খারাপ করি। কিংবা যে বিষয়ে পড়েছি ওই বিষয়ে আগ্রহ পাইনি। কিন্তু একাডেমিক পড়ালেখা আর কর্মজীবন সম্পূর্ণ আলাদা। যেই রসকষহীন বিষয়ে কোন আগ্রহ পাওনি কখনো, দেখা গেলো কাজ করতে এসে ওইটাই তোমার খুব ভালো লেগে যেতে পারে।

# কিছুদিন অপেক্ষা করে হলেও নিজের পছন্দের কাজে ঢুকার জন্য চেষ্টা করতে হবে। আমি নিজে পাশ করার পর দুই-তিন মাস পরেও কোথাও জয়েন করিনি। চেষ্টা করেছি নিজের পছন্দের কোন একটা কাজে যাতে ঢুকতে পারি। আলহামদুলিল্লাহ এখন নিজের খুব পছন্দের একটা কাজ করি। এই জন্য সারাদিন অফিস করেও তেমন একটা ক্লান্তি লাগেনা।

# চাকরিজীবনে বস খুবই ইম্পরটান্ট। ভালো একটা মেন্টর না পেলে চাকরিজীবন প্যারাময় হয়ে উঠতে পারে। আমি এই দিক থেকেও সৌভাগ্যবান। অসাধারন একজন বস পেয়েছি। সবার ক্ষেত্রে তা না পেলেও মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা উচিত।

# অনেকেরই আছে চাকরি – বাকরি ভালো লাগেনা। ব্যবসা করার ইচ্ছা। তাদের পাশ করার পরপরই আইডিয়া নিয়ে মাঠে নেমে পড়া উচিত। কারন একবার চাকরিতে ঢুকে পড়লে এই লুপ থেকে বের হওয়া কঠিন। আমার বস একটা গল্প বলে, উনার ফ্রেন্ড ১৯৯৭ এ বুয়েট থেকে পাশ করে ওয়াসায় জয়েন করেছিল ফরিদপুরে (সম্ভবত)। বলেছিল – জাস্ট তিনমাস করে দেখি , কেমন লাগে। তারপর এসে ব্যবসা করবো। উনি আর আসতে পারেন নাই। এখনো ওয়াসায়। মাঝে মাঝে আফসোস করেন – শালা নিজে একটা ব্যবসা করতে পারলে মন্দ হতোনা !

তাই এই সময়টাতে নিজের আসল স্বপ্ন নিয়ে কাজ করতে হবে। যে যেই বিভাগেই পড়েছ নিজের ইচ্ছামতো কিছু করার সময় এখনি। পারিবারিক সমস্যা বেশী একটা না থাকলে আজই নিজের স্বপ্নের পিছনে দৌড়াঁনো শুরু করো। সবাইকে অভিনন্দন।

Leave a Reply