পারদ খেয়ে দেখা

hgক্লাস ফাইভে তখন। খুব জ্বর আসছে আমার। আব্বু থার্মোমিটার কিনে আনছে জ্বর মাপার জন্য।

ওইদিন আম্মা মাছ দিয়ে ঝাল তরকারী রান্না করতেছিল ঝোঁল ঝোঁল করে। ভাবলাম ঝোঁলের স্ফুটনাংকটা মাপি। যেহেতু পানির স্ফুটনাংক ১০০ ডিগ্রী সেঃ, ঝোলেরও কাছাকাছি হবে। থার্মোমিটারে দেখলাম ১০২ ডিগ্রী পর্যন্ত মাপা যায়।

ওই বয়সে সেন্টিগ্রেড আর ফারেনহাইট নামে দুইটা যে আলাদা স্কেল আছে তা জানতাম না। বাস্তবে এই থার্মোমিটার যে ৩৮.৭ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড মাপতে পারে এইটা তখনো শিখিনাই।

তো আম্মা কিচেন থেকে ভিতরে কোথায় জানি গেছে। দেখি তরকারীর ঝোঁল টগবগ করে ফুঁটছে। এই সুযোগে আমি থার্মোমিটারটা ঝোঁলের মধ্যে ডুবাই দিছি।
৩৭ ডিগ্রী সেঃ ক্যাপাসিটির পারদ ১০০ ডিগ্রী সেঃ সইতে না পেরে গলে ঝোঁলের সাথে মিশে গেল। হায়রে বোকামীর দন্ড। আমিতো হতবাক। ভয়ে বাসায় আর কাউকে বলিনাই। ওইদিন ওই তরকারী বাসার সবাই খাইছিল – আমিসহ। সৃষ্টিকর্তার রহমতে কোন ক্ষতি হয় নাই কারো। সম্ভবত পরিমানে কম থাকার কারনে।

অনেক পরে জানতে পারছি মার্কারী খাওয়া ক্ষতিকর এবিং সেন্টিগ্রেড আর ফারেনহাইটের পার্থক্য 😛

Updated: September 7, 2016 — 2:59 pm

Leave a Reply