বালিকার ফ্রক

balikaইহা সেই স্বপ্ন হংসিনী বালিকার ফ্রক

যার ফ্রকের আচলে শহরের পোড়া পেট্রোলের বদলে

লেগে থাকে  মিষ্টি গন্ধভরা মাটির সুবাস

কিংবা শুষ্ক গোবর্জ্যের চুলায় ধোয়া ধরা আলু তরকারীর মাংগলিক ঝোঁল;

এই ফ্রক নিয়ে বালিকা খেলে-কুতকুত, কানামাছি আরো কত কী

বেণী করা চুল নিয়ে বনবালার ন্যায় ঘন অরণ্যে উদাস হতে গিয়ে

অশথের শাখায়  বালিকার ফ্রক আঁটকে যায় যখন

ঘনমেঘ সঞ্চিত নদীর জল- বালিকার  ছেঁড়া ফ্রককে সিক্ত করে তোলে

একটিমাত্র যক্ষের ধন  হে বালিকার, অতি যতনে পরা ফ্রক;

বালিকা ছেঁড়া টুকরাটি লুকিয়ে রাখে রসুই ঘরের বেড়ার ফাঁকে,

শনের বেঁড়ার কোণে খুঁচে রাখে যেন মা না দেখে

বালিকার চোখে ভাসে কোন আনন্দ পার্বনে আরেকটি ফ্রকের স্বপ্ন।

 

দীর্ঘ কয়েক বছর পর-

যখন বালিকা ফ্রক পরা ছেড়ে দেয়, গ্রামের কিশোরগুলো যেদিন যুবক হয়ে যায়;

টুকরা কাপড়ের সন্ধানে এদিক ওদিক হাতড়ে বেড়ায় বৃদ্ধবালিকা

দেহ  নিঃশিত লোহিতকণাগুলো পাহাড়ের খাঁজ ঘেষে নেমে আসে

ক্লান্তিকর জরাকে পদদলিত করে বালিকার দৃষ্টি এখন শনের বেড়ার ফাঁকে

বালিকার সোতস্বিনী চোখ নেচে ওঠে

নৈঃশব্দের মৃত চুম্বন জুড়ে রয় ফ্রকের ওষ্ঠাধার ঘেষে

আহা সেই ফ্রক!

Leave a Reply